রামগঞ্জে প্রেমিককে ডেকে গনধোলাই
রামগঞ্জে মোবাবাইল ফোনে ডেকে এনে মো. মহসীন কবির (২২) নামের এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাত ১১টায় রামগঞ্জ উপজেলার হানুবাইশ বড়বাড়িতে। এলাকাবাসী জানায়, রামগঞ্জ উপজেলার ৩নং ভাদুর ইউনিয়নের হানুবাইশ গ্রামের বড়বাড়ির মো. মিজানুর রহমানের মেয়ে ডলি আক্তার (১৫)-এর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সমেষপুর গ্রামের খোসাল মিজি বাড়ির মো. হোসেনের ছেলে মো. মহসীন কবিরের দীর্ঘ ৩ বছরধরে মন দেয়া-নেয়ার সম্পর্ক চলে আসছিল। ডলি এর আগেও মোবাইল ফোন করে কবিরকে তার বাড়িতে নিয়ে এসে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতো। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাত ১১টায় ডলি আক্তার প্রথমে মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে কোন উত্তর না পাওয়ায় সরাসরি ফোন করে প্রেমিক কবিরকে বাড়িতে দেখা করতে বলে। পরে কবির ছুটে আসামাত্রই আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ডলির চাচা আঃ কাদের, মো. হারুন, আঃকুদ্দুছ ও আঃ লতিফসহ প্রেমিক কবিরের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে চিৎকার দিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীকে এগিয়ে এলে কবিরকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে দ্বিতীয় দফা তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় কবির মাটিয়ে লুটিয়ে পড়লে তার হাত-পা বেঁধে রামগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ কবিরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। গতকাল সকাল ১০টায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চু, যুবলীগ নেতা মো. মামুন, সমেষপুরের ছাত্রলীগ নেতা মো. সুমনসহ আরও অনেকের মধ্যস্থতায় কবিরকে থানা থেকে মুক্ত হরা হয়। সৃষ্ট ঘটনায় মহসীন কবিরের বড় বোন মারজাহান আক্তার রীনা জানান, আমার ভাই রামগঞ্জ রাব্বানীয়া আলীয়া মাদ্রাসার ফাজিল ১মবর্ষের ছাত্র। ডলির সঙ্গে আমার ভাইয়ের ৩ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। আমার ভাই কোন ডাকাত নয়। তাকে অন্যায়ভাবে ডলির পরিবারের লোকজন পিটিয়েছে। ডলির চাচা আঃ কাদের ও মাঝিরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আবদুল লতিফ জানান, আমার ভাইঝি ডলি এখনও নাবালিকা। সে বালুয়া চৌমুহনী বাজার ফয়েজ আম মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। প্রেম কি জিনিস ও বোঝে না। আমার ভাইঝি ডলিকে প্রায়ই কবির ডিস্টার্ব করতো। এজন্য আমরা তাকে পিটিয়েছি। এছাড়া বেশি কিছু বলতে পারবো না। রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, কবির আসলে ডাকাত ছিলনা। ওটা আসলে তাদের দু’জনার প্রেম সম্পর্কিত ব্যাপার। এজন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় প্রেমিক কবিরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
Created at 2014-12-09 08:48:52
Back to posts
UNDER MAINTENANCE