১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা আতিক হাসান (রামগঞ্জ)
এই হত্যা শুধু একটি পরিবার হত্যা নয়! এটি একটি দেশ,একটি জাতিকে হত্যা।

ইতিহাসের এক মহামানব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসনে জন্ম নেয়া এ নবজাতক বায়োবৃদ্ধির সাথে সাথে তাঁর জ্ঞান, মেধা, সচেতনতা, দুর্দান্ত সাহস, মানুষের প্রতি গভীর মমত্ববোধ, দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ এবং আপোষহীন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে পুরো বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন। তিনি বাঙালির অর্থনৈতিক মক্তি এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এতই দৃঢ়চিত্ত এবং প্রতিজ্ঞবদ্ধ ছিলেন যে, পাকিস্তানি ২৩ বছরের শাসনামলে প্রায় ১৩ বছর ৯মাস কারাভোগ করেছেন কিন্তু বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে কখনো আপোষ করেননি।মন্তিত্বের লোভ এবং ফাঁসির রজ্জু কোনটিই তাঁকে আদর্শ থেকে বিচুত্য করতে পারেনি।১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করেও বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্বের পদ গ্রহণ করেননি বাঙালির মুক্তিসনদ ৬ দফার সাথে আপোষ করে মৃত্যুভয়কে জয় করে বাঙালির স্বাধীনতার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে চেয়েছিলেন তিনি।পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতারের পূর্বে শেষ মুজিব ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।তাঁর আহ্বানে তাঁর নামেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিলো এবং সে কারণেই দেশের মানুষে তাঁকে বঙ্গবন্ধু, জাতির জনক হিসেবে অভিষিক্ত করেছেন।বঙ্গবন্ধূ ও স্বাধীনতা এবং দুইটি শব্দ বাঙালি জাতির কাছে পরস্পর সামর্থক শব্দ।বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা, স্বাধীনতা মানেই বঙ্গবন্ধু।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির আবহমানকালের সাংস্কৃতির ঐতিহ্য থেকে জন্ম নেয়া একজন মহাপুরুষ।তিনি তাঁর কৃতকর্ম ও আদর্শের জন্য বাঙালি জাতির ঐতিহাসিক এক গুরুত্বর্পূণ অধ্যায়কে অধিকার করে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন।
আজ সেই ভয়াল ১৫ ই আগষ্ট।১৯৭৫ এর এই দিনে ঘাতক ও পাকহানাদারের দোষররা মিলে স্বাধীন বাংলার স্থপতি সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এবং গোটা পরিবারকে নির্মম ভাবে হত্যা করে।
সেই স্বাধীনতা বীরোদীরা মিলে খুনী জিয়া সহ ক্ষমতা লোভী বেইমান মীর জাফররা মিলে হত্যা করে একটি পরিবারের সবাইকে।কোমল মতি শিশু পুত্র রাসেলকেও ঘাতক'রা রেহাই দেয়নি।তাঁকেও হত্যা করে খুনীরা।
এই হত্যা শুধু একটা পরিবার হত্যা নয়! একটি দেশ হত্যা,এটি একটি জাতিকে হত্যা।বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সোনার বাংলাকে হত্যা করলো ঘাতকরা।
খোদার অষেশ কৃপায় সেই দিন প্রবাসে থাকার কাররে বেঁচে যায় বর্তমান প্রধান মন্ত্রী গনতন্ত্রের মনস কন্যা জন নেত্রী শেখ হাসিনা ও ছোট বোন শেখ রেহানা।
শত ষড়যন্ত্র করে দেশটাকে ভোগের বস্তুতে রুপান্তরিত করতে চক্রান্ত করে চলছে স্বাধীনতার শত্রুরা।শেখ মজিবের রেখে যাওয়া তন্বয়া জন নেত্রী শেখ হাসিনাকেও খুনের চেষ্টা করে তারা।০৪ সালের ২১ আগষ্ট বোমা হামলা করে আওয়ামিলীগের সভা নেত্রী আইভি রহমান সহ অসংখ্য নেতা কর্মীকে হত্যা করে।আল্লাহর মেহেরবানিতে সে দিন প্রানে রক্ষা পান আমার প্রান প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিন।
কথায় আছে রাখে আল্লাহ মারে কে?
আল্লাহর দয়ায় আওয়ামীলীগ আজ ক্ষমতায়।নেতৃত্ব,ক্ষমতা আল্লাহ কর্তৃক বিষেশ দান।
সেই দানের প্রতি আনুগত্ব্যশীল জননেত্রী শেখ হাসিনা।এতগুলো স্বজন হারিয়ে আজো মানুষের ভালোবাসা আর দূর্ভাগা বাংলার পাশে থেকে উন্নত্ব রাষ্ট গড়ার লক্ষে সেবা দিয়ে চলছে।
তুমি এগিয়ে চলো তমার মত করে
রাষ্ট্র মোদের গড়ে উঠবে সোনার বাংলা হয়ে,
পিতার মতো আত্ম ত্যাগী প্রানের করোনা কভূ ভয়-
ঠিকই একদি গাইবে সবাই জয় বাংলা জয়।
পরিশেষে…আমার নাম এই বলে খ্যাত হোক
আমি বঙ্গবন্ধুর লোক।
ইতি-
আতিক হাসান
যুগ্ম আহবায়ক ৭নং ইউনিয়ন যুবলীগ
রামগঞ্জ উপজেলা
Created at 2014-08-14 02:22:35
Back to posts
UNDER MAINTENANCE
১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা আতিক হাসান (রামগঞ্জ)
এই হত্যা শুধু একটি পরিবার হত্যা নয়! এটি একটি দেশ,একটি জাতিকে হত্যা।

ইতিহাসের এক মহামানব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসনে জন্ম নেয়া এ নবজাতক বায়োবৃদ্ধির সাথে সাথে তাঁর জ্ঞান, মেধা, সচেতনতা, দুর্দান্ত সাহস, মানুষের প্রতি গভীর মমত্ববোধ, দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ এবং আপোষহীন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে পুরো বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন। তিনি বাঙালির অর্থনৈতিক মক্তি এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এতই দৃঢ়চিত্ত এবং প্রতিজ্ঞবদ্ধ ছিলেন যে, পাকিস্তানি ২৩ বছরের শাসনামলে প্রায় ১৩ বছর ৯মাস কারাভোগ করেছেন কিন্তু বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে কখনো আপোষ করেননি।মন্তিত্বের লোভ এবং ফাঁসির রজ্জু কোনটিই তাঁকে আদর্শ থেকে বিচুত্য করতে পারেনি।১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করেও বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্বের পদ গ্রহণ করেননি বাঙালির মুক্তিসনদ ৬ দফার সাথে আপোষ করে মৃত্যুভয়কে জয় করে বাঙালির স্বাধীনতার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে চেয়েছিলেন তিনি।পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতারের পূর্বে শেষ মুজিব ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।তাঁর আহ্বানে তাঁর নামেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিলো এবং সে কারণেই দেশের মানুষে তাঁকে বঙ্গবন্ধু, জাতির জনক হিসেবে অভিষিক্ত করেছেন।বঙ্গবন্ধূ ও স্বাধীনতা এবং দুইটি শব্দ বাঙালি জাতির কাছে পরস্পর সামর্থক শব্দ।বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা, স্বাধীনতা মানেই বঙ্গবন্ধু।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির আবহমানকালের সাংস্কৃতির ঐতিহ্য থেকে জন্ম নেয়া একজন মহাপুরুষ।তিনি তাঁর কৃতকর্ম ও আদর্শের জন্য বাঙালি জাতির ঐতিহাসিক এক গুরুত্বর্পূণ অধ্যায়কে অধিকার করে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন।
আজ সেই ভয়াল ১৫ ই আগষ্ট।১৯৭৫ এর এই দিনে ঘাতক ও পাকহানাদারের দোষররা মিলে স্বাধীন বাংলার স্থপতি সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এবং গোটা পরিবারকে নির্মম ভাবে হত্যা করে।
সেই স্বাধীনতা বীরোদীরা মিলে খুনী জিয়া সহ ক্ষমতা লোভী বেইমান মীর জাফররা মিলে হত্যা করে একটি পরিবারের সবাইকে।কোমল মতি শিশু পুত্র রাসেলকেও ঘাতক'রা রেহাই দেয়নি।তাঁকেও হত্যা করে খুনীরা।
এই হত্যা শুধু একটা পরিবার হত্যা নয়! একটি দেশ হত্যা,এটি একটি জাতিকে হত্যা।বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সোনার বাংলাকে হত্যা করলো ঘাতকরা।
খোদার অষেশ কৃপায় সেই দিন প্রবাসে থাকার কাররে বেঁচে যায় বর্তমান প্রধান মন্ত্রী গনতন্ত্রের মনস কন্যা জন নেত্রী শেখ হাসিনা ও ছোট বোন শেখ রেহানা।
শত ষড়যন্ত্র করে দেশটাকে ভোগের বস্তুতে রুপান্তরিত করতে চক্রান্ত করে চলছে স্বাধীনতার শত্রুরা।শেখ মজিবের রেখে যাওয়া তন্বয়া জন নেত্রী শেখ হাসিনাকেও খুনের চেষ্টা করে তারা।০৪ সালের ২১ আগষ্ট বোমা হামলা করে আওয়ামিলীগের সভা নেত্রী আইভি রহমান সহ অসংখ্য নেতা কর্মীকে হত্যা করে।আল্লাহর মেহেরবানিতে সে দিন প্রানে রক্ষা পান আমার প্রান প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিন।
কথায় আছে রাখে আল্লাহ মারে কে?
আল্লাহর দয়ায় আওয়ামীলীগ আজ ক্ষমতায়।নেতৃত্ব,ক্ষমতা আল্লাহ কর্তৃক বিষেশ দান।
সেই দানের প্রতি আনুগত্ব্যশীল জননেত্রী শেখ হাসিনা।এতগুলো স্বজন হারিয়ে আজো মানুষের ভালোবাসা আর দূর্ভাগা বাংলার পাশে থেকে উন্নত্ব রাষ্ট গড়ার লক্ষে সেবা দিয়ে চলছে।
তুমি এগিয়ে চলো তমার মত করে
রাষ্ট্র মোদের গড়ে উঠবে সোনার বাংলা হয়ে,
পিতার মতো আত্ম ত্যাগী প্রানের করোনা কভূ ভয়-
ঠিকই একদি গাইবে সবাই জয় বাংলা জয়।
পরিশেষে…আমার নাম এই বলে খ্যাত হোক
আমি বঙ্গবন্ধুর লোক।
ইতি-
আতিক হাসান
যুগ্ম আহবায়ক ৭নং ইউনিয়ন যুবলীগ
রামগঞ্জ উপজেলা
Created at 2014-08-14 02:22:35
Back to posts
UNDER MAINTENANCE