এগিয়ে এলেন লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ প্রশাসক
রামগঞ্জে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ীদের আর্তনাদে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ প্রশাসক ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোঃ শামছুল ইসলাম এর আশ্বাসে স্বস্তি পেয়েছেন রামগঞ্জ খাদ্য গুদাম ব্রীজ সংলগ্ন ঈদের দিন সকালে অগ্নিকা-ে পুড়ে যাওয়া ফল মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ী ও দোকান মালিকরা। এসময় সর্বশ্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন ৮টি ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠান মালিক ও ভাড়াটিয়ারা।
ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক ও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ী দুলাল হোসেন জানান, ঈদের দিন ভোরে হটাৎ তার মালিকানাধীন দোকানসহ পাশ্ববর্তি বেশ কয়েকটি ফল, কনফেকশনারী, ছাতা, গোস্ত ও মোবাইলের দোকানে সংঘঠিত আগুনে মালামালসহ প্রায় কোটি টাকার ক্ষতিসাধিত হয়। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হয় বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। দুই দিন পর দুলাল হোসেনসহ দোকানের অন্য ব্যাবসায়ী ও মালিকরা আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ দোকানগুলো পূনরায় মেরামত করতে গেলে রামগঞ্জ থানা থেকে দোকান মালিক ও ব্যাবসায়ী গোলাম হোসেন, শামছুল হক, আমির হোসেন মোল্লা ও সোহাগকে জানিয়ে দেন উক্ত স্থানে নতুন করে দোকান নির্মান করা যাবে না। এসময় ব্যাবসায়ী ও দোকান মালিকদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। তারা পুলিশের নিকট জানতে চান কি কারনে তারা দোকান মেরামত করতে পারবেন না। এসময় পুলিশ তাদেরকে সাফ জানিয়ে দেন এ জায়গার মালিকানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে তাই দোকান পূনরায় তৈরি করা যাবে না। ব্যাবসায়ীরা আবারো পুলিশকে জানান, আমরা জেলা পরিষদ থেকে উক্ত সম্পত্তি লীজ নিয়ে বিগত ৩ যুগ থেকে ব্যাবসায় করে আসছি। এসময় পুলিশকে জেলা পরিষদের খাজনা আদায়ের একটি রশিদ যার নম্বর ২৪৪৫/৮৯ তারিখ: ৩০-১০-২০১৩ইং দেখানোর পরও পুলিশ ব্যাবসায়ীদের কাজে হাত দিলে গ্রেফতারের হুমকি প্রদান করে। উপায়ন্তর না দেখে ব্যাবসায়ীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
ব্যাবসায়ীরা এসময় সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় এক হরফন মোল্লার ইন্ধনে তাদের ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়ে তাদেরকে সর্বশ্রান্ত করে এখন তাদেরকে ভূমি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছে। রবিবার ব্যাবসায়ী ও দোকান মালিকরা লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ প্রশাসককে বিষয়টি অবহিত করলে জেলা পরিষদ প্রশাসক ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোঃ শামছুল ইসলাম রবিবার বিকালে অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো দেখতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। সরেজমিনে তিনি পরিদর্শন করে দোকান মালিকদের দোকানঘর পূনরায় নির্মানের আশ্বাস প্রদান করে। এসময় ব্যাবসায়ী ও দোকান মালিকরা জেলা পরিষদ প্রশাসকের এ মানবিক সিদ্ধান্তে সমস্বরে স্বাগত জানান।
এব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ প্রশাসক ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোঃ শামছুল ইসলাম জানান, ঈদের দিন এতবড় ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আগুনে তাদের সর্বস্ব পুড়ে গেছে। তাছাড়া উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিকরা আগে থেকেই আমাদের লীজ গ্রহীতা। তাই তাদের এই বিপদে এগিয়ে আসা আমাদের দায়িত্ব মনে করি।
Created at 2014-08-04 00:13:57
Back to posts
UNDER MAINTENANCE
এগিয়ে এলেন লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ প্রশাসক
রামগঞ্জে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ীদের আর্তনাদে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ প্রশাসক ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোঃ শামছুল ইসলাম এর আশ্বাসে স্বস্তি পেয়েছেন রামগঞ্জ খাদ্য গুদাম ব্রীজ সংলগ্ন ঈদের দিন সকালে অগ্নিকা-ে পুড়ে যাওয়া ফল মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ী ও দোকান মালিকরা। এসময় সর্বশ্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন ৮টি ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠান মালিক ও ভাড়াটিয়ারা।
ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক ও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ী দুলাল হোসেন জানান, ঈদের দিন ভোরে হটাৎ তার মালিকানাধীন দোকানসহ পাশ্ববর্তি বেশ কয়েকটি ফল, কনফেকশনারী, ছাতা, গোস্ত ও মোবাইলের দোকানে সংঘঠিত আগুনে মালামালসহ প্রায় কোটি টাকার ক্ষতিসাধিত হয়। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হয় বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। দুই দিন পর দুলাল হোসেনসহ দোকানের অন্য ব্যাবসায়ী ও মালিকরা আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ দোকানগুলো পূনরায় মেরামত করতে গেলে রামগঞ্জ থানা থেকে দোকান মালিক ও ব্যাবসায়ী গোলাম হোসেন, শামছুল হক, আমির হোসেন মোল্লা ও সোহাগকে জানিয়ে দেন উক্ত স্থানে নতুন করে দোকান নির্মান করা যাবে না। এসময় ব্যাবসায়ী ও দোকান মালিকদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। তারা পুলিশের নিকট জানতে চান কি কারনে তারা দোকান মেরামত করতে পারবেন না। এসময় পুলিশ তাদেরকে সাফ জানিয়ে দেন এ জায়গার মালিকানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে তাই দোকান পূনরায় তৈরি করা যাবে না। ব্যাবসায়ীরা আবারো পুলিশকে জানান, আমরা জেলা পরিষদ থেকে উক্ত সম্পত্তি লীজ নিয়ে বিগত ৩ যুগ থেকে ব্যাবসায় করে আসছি। এসময় পুলিশকে জেলা পরিষদের খাজনা আদায়ের একটি রশিদ যার নম্বর ২৪৪৫/৮৯ তারিখ: ৩০-১০-২০১৩ইং দেখানোর পরও পুলিশ ব্যাবসায়ীদের কাজে হাত দিলে গ্রেফতারের হুমকি প্রদান করে। উপায়ন্তর না দেখে ব্যাবসায়ীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
ব্যাবসায়ীরা এসময় সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় এক হরফন মোল্লার ইন্ধনে তাদের ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়ে তাদেরকে সর্বশ্রান্ত করে এখন তাদেরকে ভূমি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছে। রবিবার ব্যাবসায়ী ও দোকান মালিকরা লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ প্রশাসককে বিষয়টি অবহিত করলে জেলা পরিষদ প্রশাসক ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোঃ শামছুল ইসলাম রবিবার বিকালে অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো দেখতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। সরেজমিনে তিনি পরিদর্শন করে দোকান মালিকদের দোকানঘর পূনরায় নির্মানের আশ্বাস প্রদান করে। এসময় ব্যাবসায়ী ও দোকান মালিকরা জেলা পরিষদ প্রশাসকের এ মানবিক সিদ্ধান্তে সমস্বরে স্বাগত জানান।
এব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ প্রশাসক ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোঃ শামছুল ইসলাম জানান, ঈদের দিন এতবড় ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আগুনে তাদের সর্বস্ব পুড়ে গেছে। তাছাড়া উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিকরা আগে থেকেই আমাদের লীজ গ্রহীতা। তাই তাদের এই বিপদে এগিয়ে আসা আমাদের দায়িত্ব মনে করি।
Created at 2014-08-04 00:13:57
Back to posts
UNDER MAINTENANCE